মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪
বিয়ানীবাজারে স্বীকৃতি পাননি কোনো বীরাঙ্গনা, দুজনের আবেদন
আমিনুল হক দিলু, বিয়ানীবাজার
প্রকাশ: রবিবার, ৩১ মার্চ, ২০২৪, ৫:৩২ PM
বিয়ানীবাজার উপজেলায় প্রায় শতাধিক বীরাঙ্গনা থাকলেও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃত পাননি কেউ। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর উপজেলার মাত্র দুজন নারী বীরাঙ্গনা স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন বলে জানা গেছে। সামাজিকতা, লোকলজ্জা এবং অন্যান্য কারণে অন্য বীরাঙ্গনারা স্বীকৃতি আদায়ে আগ্রহী নয়। বিয়ানীবাজার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান খান জানান, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদে বীরাঙ্গনাদের কোনো তালিকা নেই। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে তালিকা সংগ্রহে কোনো তৎপরতা ছিল না। তবে শতাধিক অস্বীকৃত বীরাঙ্গনা উপজেলায় আছেন। তাদের অনেকে হয়তো এখন বেঁচে নেই।

সারাদেশে নারী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এখন পর্যন্ত গেজেটভুক্ত ১ হাজার ১৪৬ জনের মধ্যে বীরাঙ্গনা মাত্র ৪৫৫ জন। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের এই তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে বড় বাধা মনে করা হচ্ছে দীর্ঘ ও জটিল প্রক্রিয়াকে। আবার আবেদন নিয়ে ছোটাছুটি করার শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক সক্ষমতাও বর্তমানে বেশির ভাগ নারীর নেই। আবেদনের শর্ত পূরণে টাকা দাবির অভিযোগও আছে কারও কারও। আবার আবেদনের কয়েক বছর পরও স্বীকৃতি পাননি এমন নারীও আছেন।

বিয়ানীবাজার উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা অনুজ চক্রবর্তী বলেন, ‘বীরাঙ্গনাদের অনেকে নিজেরাই তালিকাভুক্ত হতে চান না। তবে যারা আবেদন করেছেন, তারা যেন তালিকাভুক্ত হতে পারেন, সেটা আমরা দেখব।’

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে গেজেটভুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা দুই লাখ দুই হাজার ৫৪৮ জন। এর মধ্যে নারী বীর মুক্তিযোদ্ধা এক হাজার ১৪৬ জন। তাদের মধ্যে কণ্ঠসৈনিক, চিকিৎসক, সেবিকা ও বীরাঙ্গনাও রয়েছেন। তাদের মধ্যে বীরাঙ্গনা (পাকিস্তানী বাহিনীর নির্যাতনের শিকার) ৪৫৫ জন। বীরাঙ্গনাদের ২০১৫ সালে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেয় সরকার। সূত্র জানায়, মুক্তিযুদ্ধকালে পাক হানাদারদের যৌন নির্যাতনে বিয়ানীবাজার পৌরসভা এলাকার এক বীরাঙ্গনা মানসিক রোগী হয়ে শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতনের শিকার নারী এবং তাদের প্রতিনিধিরা জানান, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়া জটিল ও সময়সাপেক্ষ। আবেদনের সঙ্গে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার, মুক্তিযোদ্ধা ও গ্রামের বয়জ্যেষ্ঠ তিনজনের প্রত্যয়নপত্র দিতে হয়। যাচাইয়ের সময় এই প্রত্যয়নকারীদের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। কিন্তু এই প্রত্যয়নপত্র ও প্রত্যয়নকারীদের সাক্ষ্য নিয়েই বড় ঝামেলা।

আজকালের খবর/ওআর








সর্বশেষ সংবাদ
কনডেম সেল নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে সরকার
গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা, সানভীস তনির শোরুম সিলগালা
গাজায় শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলা, শিশুসহ নিহত ১৪
রোদে ত্বক ভালো রাখবেন কিভাবে, জেনে নিন
গেটস ফাউন্ডেশনে আর থাকছেন না মেলিন্ডা গেটস
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
‘অভিনয় শিল্পী’ বৃত্তে সেন্সর বোর্ড!
মুরগি-সবজি ট্রাক থেকে নামালেই দিতে হয় চাঁদা : সাঈদ খোকন
কুতুবদিয়ায় নোঙর করলো এমভি আবদুল্লাহ
দেশের রিজার্ভ কমে এক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন
প্রবাসী আয় অর্থনীতির প্রাণশক্তি
Follow Us
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : গোলাম মোস্তফা || সম্পাদক : ফারুক আহমেদ তালুকদার
সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : হাউস নং ৩৯ (৫ম তলা), রোড নং ১৭/এ, ব্লক: ই, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮-০২-৪৮৮১১৮৩১-৪, বিজ্ঞাপন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৯, সার্কুলেশন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৮, ই-মেইল : বার্তা বিভাগ- [email protected] বিজ্ঞাপন- [email protected]
কপিরাইট © আজকালের খবর সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft