বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩
চলতি মাসে রে‌মিট্যান্স এলো ১০৫ কোটি ডলার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ১১:৪০ AM
চলতি সেপ্টেম্বরের প্রথম ২২ দিনে (১ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর) বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী প্রবাসীরা ১০৫ কোটি ৪৯ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। প্রতিদিনের গড় হিসাবে এসেছে ৪ কোটি ৭৯ লাখ ডলার। অবৈধ হুন্ডি বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স ধারাবাহিকভাবে কম আসছে। 

প্রতি ডলারের জন্য রেমিট্যান্সে এখন ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা দিচ্ছে ব্যাংকগুলো। সে হিসাবে এই ২২ দিনে এসেছে ১১ হাজার ৫৫১ কোটি টাকা। প্রতিদিনে এসেছে ৫২৫ কোটি টাকা; কিন্তু হুন্ডিতে এক ডলারের বিনিময়ে দেয়া হচ্ছে ১১৭ থেকে ১১৮ টাকা। ফলে দফায় দফায় টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বাড়ানোর পরও ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স বাড়ছে না, উল্টো কমছে।

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয় মাস আগস্টে ১৬০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা, যা ছিল গত ছয় মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি (১.৯৭ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। প্রতিদিনের গড় হিসাবে এসেছিল ৬ কোটি ৩৬ লাখ ডলার বা ৬৯৪ কোটি টাকা। চলতি মাসের ২২ দিনে যে রেমিট্যান্স এসেছে, মাসের বাকি ৮ দিনে সেই হারে এলে মাস শেষে মোট রেমিট্যান্সের অঙ্ক ১৪৩ কোটি ৮৫ লাখ ডলারে গিয়ে ঠেকবে। সে হিসাবে আগস্টের চেয়েও সেপ্টেম্বরে কম রেমিট্যান্স আসবে। আর সেটা হবে দেড় বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম।

কার্ব মার্কেট বা খোলাবাজারে ডলারের দর বাড়ায় সাম্প্রতিক সময়ে হুন্ডি আরও বেড়ে গেছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। ভয়-আতঙ্কে রোববার কার্ব মার্কেটে ডলার বেচাকেনা বন্ধই ছিল বলা যায়। খুবই গোপনে দু-একটি লেনদেনের খবর পাওয়া গেছে, প্রতি ডলার ১১৭ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ১১৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত এক মাস ধরে খোলাবাজারে ১১৬ থেকে ১১৮ টাকায় ডলার বেচাকেনা হচ্ছে।

ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠালে আড়াই শতাংশ প্রণোদনাসহ যা পাওয়া যায়, হুন্ডির মাধ্যমে পাঠালে তার চেয়েও ৫ থেকে ৬ টাকা বেশি পাওয়া যায়। সে কারণেই সবাই হুন্ডির দিকে ঝুঁকছে বলে জানিয়েছেন জনশক্তি রপ্তানিকারক ও অর্থনীতিবিদরা।

গত অর্থবছরের শেষ মাস জুনে ২ দশমিক ২০ বিলিয়ন (২২০ কোটি) ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে, যা ছিল একক মাসের হিসাবে বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ, তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। অর্থনীতির অন্যতম প্রধান সূচক রেমিট্যান্সপ্রবাহে ধসের কারণে রিজার্ভও কমছেই।

গত ৭ সেপ্টেম্বর এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) জুলাই-আগস্ট মেয়াদের ১ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলারের আমদানি বিল পরিশোধের পর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম ৬ অনুযায়ী বাংলাদেশের রিজার্ভ ২১ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘গ্রস’ হিসাবে রিজার্ভ নেমে আসে ২৭ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলারে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ তথ্যে দেখা যায়, রবিবার আইএমএফের বিপিএম ৬ হিসাবে রিজার্ভ আরও কমে ২১ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘গ্রস’ হিসাবে রিজার্ভ নেমেছে ২৭ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলারে। গত ১২ জুলাই থেকে আইএমএফের কথামতো রিজার্ভের তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ‘গ্রস’ হিসাবের পাশাপাশি বিপিএম ৬ পদ্ধতি অসুসরণ করেও রিজার্ভের তথ্য প্রকাশ করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রা মজুত থাকতে হয়। সবশেষ গত জুলাই মাসে পণ্য আমদানিতে বাংলাদেশের ৫ বিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে। সে হিসাবে বর্তমানের ২১ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ দিয়ে সাড়ে চার মাসের কিছু বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব হবে।

আজকালের খবর/বিএস 








সর্বশেষ সংবাদ
পিটার হাসকে হত্যার হুমকি: ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
পদত্যাগ করা মন্ত্রীদের দায়িত্ব পেলেন যারা
জামিন পাননি মির্জা আব্বাস
বিশ্ববিদ্যালয়ে একক ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছে না, এবারও আগের নিয়মে
আমার পূর্বপুরুষরা আফগানিস্তানের: আদনান সামি
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
রিজার্ভ এখন ১৬ বিলিয়নের নিচে
আইএমওর ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন বাংলাদেশি দূত
পদত্যাগ না করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারবেন দলীয় এমপিরা: ইসি
মালয়েশিয়ায় ভবন ধসে ৩ বাংলাদেশি নিহত, নিখোঁজ ৪
গাজীপুরে বাসে আগুন
Follow Us
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : গোলাম মোস্তফা || সম্পাদক : ফারুক আহমেদ তালুকদার
সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : হাউস নং ৩৯ (৫ম তলা), রোড নং ১৭/এ, ব্লক: ই, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮-০২-৪৮৮১১৮৩১-৪, বিজ্ঞাপন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৯, সার্কুলেশন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৮, ই-মেইল : বার্তা বিভাগ- [email protected] বিজ্ঞাপন- [email protected]
কপিরাইট © আজকালের খবর সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft