শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
ব্রিটেনের জনজীবনে ব্রেক্সিট ও করোনার প্রভাব
রায়হান আহমেদ তপাদার
প্রকাশ: রবিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৩:৩৪ PM আপডেট: ২৬.০৯.২০২১ ৩:৫২ PM
ব্রিটেন যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে গেল, সেটা কিন্তু স্রেফ চার মাসের উন্মাদনা সৃষ্টিকারী প্রচারণার কারণে হয়নি। এটা হয়েছে ব্রিটিশদের ইউরোপের ব্যাপারে চার দশকের সন্দেহবাতিকগ্রস্ততার কারণে। সময় কখনো ভালো গেছে, কখনো খারাপ গেছে, কিন্তু এই ব্যাপারটা কখনোই হারিয়ে যায়নি। ১৯৭৩ সালে অভিন্ন বাজারব্যবস্থায় প্রবেশ করার পর থেকেই এর বিরুদ্ধাচরণ শুরু হয়। লেবার পার্টির আনুষ্ঠানিক নীতি ছিল এ রকম যে, তারা পরবর্তী এক দশকের মধ্যে সেখান থেকে বেরিয়ে আসবে। আবার কনজারভেটিভ পার্টিরও একটি বড় অংশ কখনোই ইউরোপীয় হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিতে স্বস্তিবোধ করত না। ব্রেক্সিট এবং কোভিড-১৯-এর কারণে ব্রিটেন দুই বছর কিংবা তারচেয়ে বেশি সময় পর্যন্ত কর্মী সংকটের মুখোমুখি হতে পারে বলে একটি শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক গ্রুপ সতর্ক করেছে। সিবিআই বলেছে যে কর্মীদের অভাবের ক্রমবর্ধমান হার বাড়ছে। করোনাভাইরাস মহামারী থেকে পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করে এমন ব্যবসাগুলিকে আঘাত করছে। শ্রমিক সংকট, লরি চালকদের অভাবের বাইরেও বিস্তৃত, যা সুপারমার্কেট, পাব এবং অন্যান্য ব্যবসায় সরবরাহের শৃঙ্খলকে আঘাত করছে। ব্রিটেনের প্রায় প্রতিটি সেক্টরের চলছে শ্রমিক সংকট। অপরদিকে যে নতুন ব্রেক্সিট অভিবাসন বিধিনিষেধের কারণে ইউরোপ থেকে কর্মীদের অভাবের কারণে রেস্তোরাঁ শৃঙ্খল তার সাইটের এক পঞ্চমাংশে শেফ নিয়োগ করতে হিমশিম খাচ্ছে। ফেডারেশন অব হোলসেল ডিস্ট্রিবিউটরস-এর নেতৃত্বদানকারী জেমস বিলবি বলেন, বর্তমানে খাদ্য ও পানীয় সরবরাহ শৃঙ্খল জুড়ে দীর্ঘস্থায়ী কর্মীর অভাব রয়েছে। সিবিআই-এর মহাপরিচালক টনি ড্যাঙ্কার এখন স্বল্পমেয়াদী চাপ কমাতে তাদের অভিবাসন লিভার, ব্যবহার করে সংকট দূর করতে সাহায্য করার জন্য মন্ত্রীদের আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে শ্রমিক সংকট নিরসন হতে পারে। যুক্তরাজ্যে, মহামারী চলাকালীন অনেক বিদেশি কর্মী চলে গিয়েছেন। 
এমনকি আতিথেয়তা, রসদ এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণসহ সেক্টরগুলিকে প্রভাবিত করেছে এবং নতুন অভিবাসন বিধিগুলি যারা আরো জটিল রেখেছিল তাদের প্রতিস্থাপন করে। সরকারের উচ্চাকাক্সক্ষা যে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি আরো উচ্চ দক্ষ এবং উৎপাদনশীল হয়ে উঠুক তা সঠিক, কিন্তু এটা বোঝানো যে এটি রাতারাতি অর্জন করা সম্ভব নয় এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য সাময়িক ও লক্ষ্যভিত্তিক হস্তক্ষেপ। সিবিআই কোম্পানি গুলোর কাছ থেকে সক্রিয়ভাবে ক্ষমতা কাটতে শুনেছে কারণ তারা চাহিদা মেটাতে পারে না, যেমন হোটেল মালিকরা বুক করার যোগ্য কক্ষের সংখ্যা সীমাবদ্ধ করে কারণ তাদের পর্যাপ্ত গৃহকর্মী নেই এবং লিনেন লন্ডার করা যায় না। চাকরিদাতারা মানুষকে কাজে ফিরিয়ে আনতে বিদ্যমান সরকারি স্কিমগুলি ফিরিয়ে আনা হয়েছে এবং ব্যবসাগুলি ইতোমধ্যেই প্রশিক্ষণের জন্য উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ব্যয় করছে সরকার। ফলাফল পেতে সময় লাগবে এবং কিছু সদস্য পরামর্শ দেয় যে শ্রমিকের ঘাটতির জন্য কয়েক মাসের পরিবর্তে কয়েক বছর লাগতে পারে। শ্রমিক সংকট মোকাবেলা করতে পয়েন্টভিত্তিক দক্ষ শ্রমিক আনার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের; তবে বর্তমানে লরি ড্রাইভার সংকটসহ বিভিন্ন সেক্টরে শ্রমিক সংকট প্রকট আকার ধারন করেছে। এই সংকট কাঁটিয়ে উঠতে সময় লাগবে কয়েক বছর। এদিকে ব্রিটেনের স্কুলে, হাসপাতালে গত এক দশক ধরেই আসন সংকটের তীব্রতা। অথচ এ সময়কালে ব্রিটেনে বাংলাদেশ, ভারত বা পাকিস্তানের মতো নন-ইইউ দেশগুলো থেকে অভিবাসন কমেছে কমপক্ষে অতীতের তুলনায় দুই-তৃতীয়াংশ। তারপরও আবাসন থেকে পরিবহন কোথাও সিট খালি নেই। এর মূল কারণ ইউরোপ থেকে জীবিকার আশায় ব্রিটেনে পাড়ি জমানো লাখো মানুষের ভিড়। দেশে দেশে অর্থনৈতিক মন্দা আর বেকারত্বে বিপর্যস্ত ইউরোপিয়ান নাগরিকদের সহজ টার্গেট হয়ে উঠলো ব্রিটেন। 
ইউরোপের কিছু দেশ থেকে মানুষজন ব্রিটেনে হাজারে হাজারে ছুটলেন সন্তানদের চাইল্ড বেনিফিটসহ বিভিন্ন সরকারি সুবিধা নেওয়ার আশায়। অন্যদিকে আলস্যে জগৎ বিখ্যাত শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশদের একটা অংশ এমনিতেই বছরের পর বছর বেকার থাকতে অভ্যস্ত। গত ১৩ বছর ধরে ব্রিটেনের ক্ষমতায় ডানপন্থী কনজারভেটিভ সরকার। কনজারভেটিভের আমলে দফায় দফায় বেনিফিট কাট হলো, কর্মহীন বেকার মানুষকে কাজে ফেরাতে প্রশিক্ষণ, পোশাক, প্রণোদনাসহ নানা সমন্বিত উদ্যোগ নিলো সরকার। বাধ্য হয়ে কাজে গিয়ে ব্রিটিশ শ্বেতাঙ্গদের একটা অংশ দেখলো, কারওয়াশ থেকে শুরু করে সেলসম্যান বা ওয়েটারের মতো ব্রিটেনের লো-পেইড ও কম দক্ষতাসম্পন্ন চাকরিগুলোর সিংহভাগই ইউরোপ থেকে আসা কর্মীদের দখলে। অবশ্য এ কাজগুলো ব্রিটেনে দেশ থেকে আসা বাংলাদেশি তথা এশিয়ান মানুষজনেরও মূল কাজ। এ সেক্টরগুলো মূলত চলে যাচ্ছিল ইউরোপ থেকে আসা কর্মঠ শ্রমিকদের হাতে। তখন থেকেই শুরু ব্রিটেনে ইউরোপিয়ান বিরোধী একটি জন মনস্তত্ত্বের। ইউরোপের বিভিন্ন দেশের অর্থনীতি গত কয়েক বছর ধরেই পড়তির ধারায়। ইতালির মতো দেশ রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন আর ক্ষমতাসীন শীর্ষ রাজনীতিবিদদের দুর্নীতিতে বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংকটে বহুদিন ধরেই। স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে ব্রিটেনের অভ্যুদয় ১৭০৭ সালের পহেলা মে। আর দেশটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন নামের রাষ্ট্র সংঘে যোগ দেয় ১৯৭৩ সালের পহেলা জানুয়ারি। ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দেওয়ার আগে ২৬৬ বছর ব্রিটেন স্বাধীন ও এককভাবে শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচালিত হয়েছে। দেশটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হওয়ার পর ৪৭ বছর হয়েছে। যে বাস্তবতায় ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দিয়েছিল ব্রিটেন, তার অনেকখানিই এখন আর প্রাসঙ্গিক নয়। আর ব্রিটেন ইউরোপে বিগত বছরগুলোতে থাকলেও ইউরোপে ব্রিটেন তার মুদ্রা ও ভিসার নিজস্বতা নিয়েই টিকে ছিল। 
তারপরও, ব্রিটেনের এক তৃতীয়াংশের বেশি নাগরিক মনে করতেন, ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে এককভাবে পথ চলতে পারবে না। একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের নাগরিকদের জন্য এটি ছিল নিতান্তই গ্লানিকর। ব্রেক্সিটের পুরো চুক্তির পুরোপুরি এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। যতটুকু এসেছে, তার মধ্যে ব্রিটেনের সীমান্তে ইউরোপের মাছ ধরা, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে এক ধরনের সমতা, ভ্রমণ, অর্থনৈতিক সেবা, পণ্য মান ও পেশাগত সেবার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ বিষয়ই একটি সময়ক্রম উল্লেখ করে পর্যালোচনাযোগ্য রাখা হয়েছে। যা ব্রিটেনের জন্য প্রায় ক্ষেত্রেই ইতিবাচক। কিন্তু ইউরোপিয়ান কোর্ট অব জাস্টিস ব্রিটেনসহ পুরো ইউরোপে বিশেষত মানবাধিকারের রক্ষাকবচ হিসেবে বিবেচিত হতো। কিন্তু এখন আর ব্রিটিশদের ক্ষেত্রে সে আদালতে যাওয়ার সুযোগ থাকবে না। আর একটি বিষয় হলো, ব্রিটেন ইউরোপের অপরাধ তালিকা, ফিঙ্গার প্রিন্টসহ অপরাধ নিয়ন্ত্রণে যে ইইউ তথ্য ব্যবহার করতে পারতো, তার বেশিরভাগই এখন আর ব্রিটেন ব্যবহার করতে পারবে না। করোনা মহামারীতে ব্রিটেনের অর্থনীতিতে ধস নেমেছে। দেশজুড়ে বেকার হয়েছে লাখো মানুষ। অবশ্য শুধু ব্রিটেন নয়, বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব অর্থনীতি। রপ্তানি বাণিজ্যে চরম অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে বাণিজ্য ঘাটতি স্মরণকালের সর্বনিম্ন স্তরে নেমে গেছে। চলতি বছওে ব্রিটেনের অর্থনীতির যে পতন হয়েছে, তা দেশটির ৪০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। ব্রিটেনের জাতীয় পরিসংখ্যান কার্যালয় বলছে, এর আগে ১৯৭০ সালে একবার এ ধরনের নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির মুখ দেখেছিল ব্রিটিশ অর্থনীতি। ওই সময় যুক্তরাজ্য খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে দুবার বড় ধরনের নেতিবাচক প্রবৃদ্ধিতে পড়েছিল। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হচ্ছে, করোনা মহামারির এবার সেই রেকর্ডও প্রায় ভেঙেই ফেলেছিল। কিন্তু গেল ডিসেম্বওে এক দশমিক দুই শতাংশ ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়ে সে যাত্রায় মান রক্ষা করেছে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি। 
২০২০ সালের এই অধঃপতনকে অনেক বড় বাজে অবস্থা হিসেবে চিহ্নিত করেছে জাতীয় পরিসংখ্যান কার্যালয়। এ প্রসঙ্গে সংস্থাটির মুখপাত্র পরিসংখ্যানবিদ জনাথন অ্যানথো বলেন, করোনার টিকা দেওয়া পরিসর বাড়ানো ও করোনা নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগগুলো ইতিবাচক হিসেবে সামনে আসায় আশার আলো দেখা যাচ্ছে। ব্রিটিশ চ্যান্সেলর রিশি সুনাক বলেন, যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির দিকে তাকালে এক গভীর খাদ থেকে উঠে আসা অভিজ্ঞ অর্থনীতি চোখে পড়ে। শীতের মধ্যে অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানো ইতিবাচক হিসেবে সামনে এলেও আবার আরোপ করা লকডাউনের মুখে বেশ ক্ষতির ইঙ্গিতই দিচ্ছে। আর তাই বর্তমানে কর্মসংস্থান ধরে রাখা, ব্যবসা টিকিয়ে রাখা ও জীবনযাত্রাকে স্বাভাবিক রাখার দিকে বেশি নজর দেওয়ার পরামর্শ তার। বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় ২০ দশমিক ৪ শতাংশ সঙ্কুচিত হয়েছে অর্থনীতি। দোকান বন্ধ থাকায় গৃহস্থালি ব্যয় হ্রাস পেয়েছে, কারখানা ও নির্মাণকাজও কমে গেছে, যা যুক্তরাজ্যকে ২০০৯ সালের পর প্রথম কৌশলগত মন্দার দিকে ঠেলে দিয়েছে। কৌশলগত মন্দার অর্থ হচ্ছে, পরপর দুই প্রান্তিকে অর্থনৈতিক সঙ্কুচন। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে মন্দার সূচনা ফেব্রুয়ারি থেকে। প্রথম প্রান্তিকে মার্কিন জিডিপির পতন হয় পাঁচ শতাংশ। এরপর দ্বিতীয় প্রান্তিকে পতন হয় ৩২ দশমিক নয় শতাংশ। সেই সঙ্গে এখনো মার্কিন বেকারত্বের হার ১০ দশমিক দুই শতাংশ, যা মহামন্দা-পরবর্তী যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। করোনার কারণে অর্থনৈতিক দুর্দশা রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে জাপানে। বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে গত বছরের তুলনায় বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ এই অর্থনীতির মোট দেশজ উৎপাদন কমেছে ২৭ দশমিক ৮ শতাংশ। অর্থনৈতিক এই দুর্দশার অন্যতম কারণ হলো ভোক্তা ব্যয় ব্যাপক হারে কমে যাওয়া। বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য মহামারির কবলে পড়ায় দেশটির রপ্তানিও অত্যন্ত হ্রাস পেয়েছে। টানা তিন প্রান্তিকে সঙ্কুচন হয়েছে অর্থনীতিটির, যা কিনা ১৯৫৫ সালের পর থেকে সবচেয়ে খারাপ অবস্থান।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে মন্দার সূচনা ফেব্রুয়ারি থেকে। প্রথম প্রান্তিকে মার্কিন জিডিপির পতন হয় পাঁচ শতাংশ। এরপর দ্বিতীয় প্রান্তিকে পতন হয় ৩২ দশমিক নয় শতাংশ। সেই সঙ্গে এখনো মার্কিন বেকারত্বের হার ১০ দশমিক দুই শতাংশ, যা মহামন্দা-পরবর্তী যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। পাশাপাশি দেশটির বিপর্যস্ত দৈনন্দিন জীবন কবে স্বাভাবিক হবে, তা বলা যাচ্ছে না। করোনার কারণে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক মন্দার মুখোমুখি ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সবশেষ হিসাবে দেখা যাচ্ছে, যেমনটি ধারণা করা হয়েছিল তার চেয়েও খারাপ অবস্থায় যাচ্ছে এই ব্লকের অর্থনৈতিক অবস্থা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে ফ্রান্সের জিডিপি কমেছে ১৩ দশমিক আট, ইতালির ১২ দশমিক চার এবং জার্মানির ১০ দশমিক এক শতাংশ। করোনাভাইরাস বিশ্বজুড়ে সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলেছে। মহামারিতে বিশ্বের দরিদ্র মানুষের সংখ্যা লাফিয়ে ওঠার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এটি সামাজিক ভাঙন এবং রাজনৈতিক বিভাজনও ঘটবে। বিশ্বজুড়ে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কোনো অস্থায়ী ব্যবস্থা নয়। এটি অভিবাসীবিরোধী মনোভাবের ফলস্বরূপ হতে পারে। ইতোমধ্যে চীনবিরোধী জাতিগত নির্যাতনের কয়েকটি ঘটনা জানা গেছে। করোনাকালের এই পর্যায়ে এসে সবাই এখন বলছেন, গোটা মানবজাতির জন্য এখন প্রথম চ্যালেঞ্জ- করোনার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে নিজেকে টিকিয়ে রাখা। সেজন্য বিজ্ঞানের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে, যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এই পরীক্ষায় উতরে গেলে পরবর্তী চ্যালেঞ্জ হবে করোনা পরবর্তী নতুন বাস্তবতার সাথে নিজেদের খাপ খাইয়ে নেওয়া। করোনা পরবর্তী বাস্তবতা সম্পর্কে ইতোমধ্যে অনেক কিছু বলা হয়েছে এবং সকলেই প্রায় একমত যে মানুষ আর আগের পৃথিবীতে ফিরে যেতে পারবে না। বিশ্বনেতাদের রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার পাশাপাশি এর সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিণতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়া দরকার। 
লেখক : গবেষক ও কলামিস্ট। 
আজকালের খবর/আরইউ








সর্বশেষ সংবাদ
নতুন জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে বিজ্ঞানী ও কৃষি শ্রমিকদের অবদান রয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
ভোটের প্রচারণায় এগিয়ে মনোজ বৈদ্য
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগে সমতা চায় টিআইবি
স্বাগতম ২০২২, বিদায় ২০২১
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি সুন্দরবন
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
সুবাহর শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন
তাদের মাখো মাখো ‘প্রেমের প্রাসাদ’!
‘আমাকে জায়গা দিন, এটা আমার প্রাপ্য’ : লালকেল্লার দাবিদার মোগল সম্রাজ্ঞী
চা দোকানিকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা
ভোটের প্রচারণায় এগিয়ে মনোজ বৈদ্য
Follow Us
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : গোলাম মোস্তফা || সম্পাদক : ফারুক আহমেদ তালুকদার
সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : হাউস নং ৩৯ (৫ম তলা), রোড নং ১৭/এ, ব্লক: ই, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮-০২-৪৮৮১১৮৩১-৪, বিজ্ঞাপন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৯, সার্কুলেশন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৮, ই-মেইল : বার্তা বিভাগ- [email protected] বিজ্ঞাপন- [email protected]
কপিরাইট © আজকালের খবর সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft